বিশেষ প্রতিনিধিঃ বিদেশি চ্যানেল পুনরায় চালু ও ক্লিন ফিড ইস্যুতে দেশি অনুষ্ঠানের মান নিম্নমানের বলায় আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ারকে পাল্টা নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগে একই ইস্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এছাড়াও ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এসএম সামসুর রহমান শিমুলকেও নোটিশ পাঠানো হয়।
গত রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশে বলা হয়েছে, ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপনবিহীন) ছাড়া কোনও বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা বর্তমানে সম্ভব নয় বিধায় ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সদস্যরা গত ১ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল প্রকার বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। বিদেশি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে ক্লিন ফিড ছাড়া কীভাবে বাংলাদেশে সম্প্রচার অব্যাহত রাখা যায়, সেই ব্যাপারে কোনও আলোচনা না করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও কোয়াবের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ বিদেশি চ্যানেল দেখার প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করেও তা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে বিনোদনের অভাব দেখা দিয়েছে, যা সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের সংবিধান ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মান অত্যন্ত নিম্ন। ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি চ্যানেলগুলোতে বিনোদনের স্বাদ গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু এই নোটিশের গ্রহীতাদের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের জনগণ বিদেশি অনুষ্ঠান দেখতে পারছেন না বলে ব্যাপক বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।’
নোটিশে বাংলাদেশের অনুষ্ঠানের মান নিম্নমানের বলায় আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ারকে পাল্টা নোটিশ পাঠানো হয়েছে দেশের একজন নির্মাতার পক্ষ থেকে। নোটিশের বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাইতে নোটিশদাতাকে পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার টিভি-নির্মাতা মোস্তফা মননের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব এ নোটিশ প্রেরণ করেন। মোস্তফা মনন তার নোটিশ পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে গত ৩ অক্টোবরের নোটিশের বক্তব্য প্রত্যাহার ও এ বিষয়ে নোটিশদাতাকে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছে।